বাঁশের তৈরি একটা বাড়ি কল্পনা করুন;
একটা খুঁটিতে যদি ঘুঁনে ধরে তাহলে বাকি খুঁটিগুলোর অবস্থা কী হবে?
বুঝতে হবে তাদের অবস্থাও ভালো নয়।
আমাদের বাংলাদেশ নামের বাড়িটার বর্তমান অবস্থাও ভালো নয়।
সন্ত্রাস, ধর্ষন, দুর্নীতি নিয়ে অনেক কথা শুনতে পাচ্ছি বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে।
সবাই নাকি এই জঘন্য অপকর্মগুলোর বিরুদ্ধে! সত্যিই কি তাই?
তাহলে এই কাজগুলো কারা করছে?
এরা মানুষ, নাকি ভীন গ্রহের এলিয়েন?
বাস্তবতা হচ্ছে এরা আমাদেরই লোক। আরো স্পষ্টবাক্যে বললে, এরা আমার ভাই, বোন, বাবা, মা, সন্তান, চাচা,মামা,খালু।
এখন কথা হচ্ছে আমি কি আমার কাছের মানুষগুলোর অন্যায়ের কিছুই জানি না? অবশ্যই জানি।
এবং জেনেও চুপ থাকি।কারন এখানে আমার স্বার্থ আছে। তাই আমি চুপ থাকি।সুতরাং আমি মনোগতভাবে অন্যায়ের দোসর, স্বার্থের কারনে অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা।
তাহলে এতো চিল্লাচিল্লি, মিডিয়াবাজি, মানববন্ধন, হাজার ঘটনার মধ্যে দুই একটার বিচার, এগুলো কতটুকু কাজে আসবে? উত্তরটা কিন্তু আমাদের সবার জানা।
তাহলে আমাদের করণীয় কী এখন?
উত্তরটা হচ্ছে- এসকল অপরাধীদের পারিবারিক, সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
এদের মুখোশ উন্মোচন করুন।
ধর্ষককে সমাজে স্বাভাবিক জীবনজাপন করতে দিবেন না।
দূর্নীতিবাজের সাথে, বা ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দিবেন না।
একজন সরকারি চাকুরিজীবীর মাসের বেতনের প্রকৃত হিসাব জানুন।
বিলাসী জীবনজাপনের উৎস খুজে বের করুন।
নিজের ছেলেমেয়েদের কে নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষা দিন।
অন্যায়কে অন্যায় বলতে শেখান।
সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো- যেমন ক্লাব, গ্রন্থাগার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে আবার সক্রিয় করে তুলুন।
সমাজের ভালমন্দে আমারও অংশ আছে এই সত্যবাক্য মেনে নিতে হবে।
মনে রাখবেন আমরা খরগোশ না আমরা মানুষ। চোখ বন্ধ করলেই ভাববেন না আপনার গায়ে ঢিল লাগবে না।
অথবা গর্তে শুধু মুখ ঢুকিয়ে ভাববেন না আপনাকে কেউ দেখছে না।
সৃষ্টিশীল, সংবেদনশীল, দায়িত্ববান, সচেতন নাগরিক গড়ে তুলতে না পারলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের আস্তাকুড়ে ফেলে দিবে এটা প্রায় নিশ্চিত।
তাই সব খুঁটিগুলো ভেঙে দিবেন না দয়া করে।
আসুন নিজে থেকে শুরু করি।
কথায় আছে - 'আপ ভালো তো জগত ভালো।'
লেখক Mostafiz Shaon
No comments:
Post a Comment